আজকাল আমরা যেখানে দেখি, সেখানে SaaS পণ্যগুলো (Software as a Service) ব্যবসার
গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। এটা এমন এক পণ্য, যা অনলাইনে সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক
ব্যবহারের মাধ্যমে কাজ করে। যদি আপনি একজন উদ্যোক্তা হন বা প্রযুক্তির প্রতি
আগ্রহী, তাহলে এই পণ্য তৈরি করে আয় করার দারুণ সুযোগ রয়েছে। এখানে আপনাকে
দেখাবো, কিভাবে আপনি একধরনের অনলাইন টুল তৈরি করে ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে
লাভবান হতে পারেন।
প্রথম ধাপ - আইডিয়া নির্বাচন করুনঃ আপনি যদি SaaS পণ্য তৈরি করতে চান, প্রথমে
আপনাকে সেই সমস্যাটার দিকে নজর দিতে হবে, যা মানুষ বারবার সম্মুখীন হয়। হতে
পারে এটি একটি ব্যবস্থাপনা টুল, প্রজেক্ট ট্র্যাকিং সিস্টেম বা মার্কেটিং
অটোমেশন টুল। আপনার আইডিয়া এমন হওয়া উচিত, যা ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন জীবনে
সুবিধা আনবে এবং তাদের কাজ সহজ করবে।
দ্বিতীয় ধাপ - প্ল্যাটফর্ম বেছে নিনঃ এই সময়ে নো-কোড টুলস (যেমন Bubble বা
OutSystems) ব্যবহার করে আপনি সহজেই SaaS পণ্য তৈরি করতে পারেন। এই
প্ল্যাটফর্মগুলো আপনাকে কোডিং ছাড়াই আপনার প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার তৈরি করতে
সহায়তা করবে। আপনি যদি ডেভেলপমেন্টে আগ্রহী হন, তবে এটি আপনার জন্য অত্যন্ত
উপকারী হতে পারে।
তৃতীয় ধাপ - আয়ের পথ খুঁজুনঃ আপনি যখন SaaS পণ্যটি তৈরি করবেন, তখন আপনার আয়ের
জন্য সাবস্ক্রিপশন মডেল ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া, আপনি যদি টায়ারড প্রাইসিং
( মানে হলো আপনার SaaS (Software as a Service) পণ্যটির জন্য বিভিন্ন
স্তরের বা ধাপের সাবস্ক্রিপশন প্ল্যান তৈরি করা) মডেল ব্যবহার করেন, তাহলে
প্রতিটি ব্যবহারকারী বিভিন্ন সুবিধা পেতে পারেন এবং এর মাধ্যমে আয়ের পরিমাণও
বাড়ানো সম্ভব হবে।
ধরা যাক, আপনি এমন একটি মিটিং শিডিউলিং টুল তৈরি করেছেন, যা ছোট ব্যবসায়ী বা
পেশাদারদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। তাদের জন্য এটি একটি সহজ উপায় হয়ে উঠবে, যা
দিয়ে তারা সহজেই মিটিংয়ের সময় নির্ধারণ করতে পারবেন এবং সময়ের সাশ্রয় করতে
পারবেন। আপনি এটি মাসিক সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিতে অফার করতে পারেন, যার মাধ্যমে
একটি স্থিতিশীল আয় প্রবাহ তৈরি হবে।
এই ধরনের SaaS পণ্য তৈরি করার জন্য আপনি যদি প্রযুক্তিপ্রেমী হন এবং
ডেভেলপমেন্টের প্রতি আগ্রহী হন, তবে এটি আপনার জন্য আদর্শ। পাশাপাশি, যারা নতুন
প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করেন এবং তাদের ব্যবসার জন্য নতুন সমাধান
খুঁজছেন, তারা এই পথে যেতে পারেন। এই ধরনের পণ্য তৈরির জন্য সৃজনশীলতা, সমস্যার
সমাধান করার মনোভাব এবং টেকনিক্যাল দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
SaaS পণ্য তৈরি করে আপনি প্রতি মাসে একজন ইউজারের কাছ থেকে ৫০০-১০০০ টাকা
পর্যন্ত আয় করতে পারেন। যদি আপনি ১০০০ ইউজারকে আকর্ষণ করতে সক্ষম হন, তবে আপনার
মাসিক আয় ৫,০০,০০০-১০,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এবং এই আয়ের পরিমাণ
শুধুমাত্র একজন উদ্যোক্তা বা ডেভেলপার হিসেবে শুরু করার জন্য একটি দুর্দান্ত
শুরু।
আপনি যদি সত্যিই SaaS পণ্য তৈরি করতে চান, তবে এটি শুধুমাত্র একটি ব্যবসা নয়,
বরং মানুষের জীবনে কিছুটা পরিবর্তন আনতে সাহায্য করার একটি সুযোগ। নিজে কিছু
তৈরি করুন, যা অন্যদের কাজে আসে এবং তার মাধ্যমে আপনি সাফল্য পেতে পারেন। আপনি
যদি এখনও সিদ্ধান্ত না নিয়ে থাকেন, তবে আজই এই পথে একধাপ এগিয়ে যান। একদিন আপনি
সফল হওয়ার পর বুঝতে পারবেন, এটি আপনার জীবনের অন্যতম সেরা সিদ্ধান্ত ছিল।
ভার্চুয়াল ইভেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে আয় করার সেরা কৌশল
আমার মনে হয়, এই সময়ে ভার্চুয়াল ইভেন্ট আয়োজন করাটা একটা দারুণ সুযোগ আমাদের
সবার জন্য। সত্যি বলতে, অনলাইন সেমিনার, ওয়ার্কশপ বা সম্মেলনগুলো এখন অনেকটা
জনপ্রিয়, আর এখান থেকে যে ভালো একটা আয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, সেটা আমাকে
খুব আকর্ষণ করে। এটা শুধু উপার্জনের একটা পথ নয়, এটা আপনার ভেতরের বিশেষ
জ্ঞান বা দক্ষতাকে পৃথিবীর সামনে তুলে ধরারও একটা মাধ্যম।
ভার্চুয়াল ইভেন্ট থেকে টাকা উপার্জনের সহজ উপায়।
ভাবছেন কীভাবে এই সুযোগটা কাজে লাগাবেন? আসলে কয়েকটি সহজ ধাপে এগোনো যায়।
আপনি আপনার অনলাইন ইভেন্টে যোগ দেওয়ার জন্য একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টিকিট
মূল্য ঠিক করতে পারেন যেমন ৫০০ টাকা বা আপনার অভিজ্ঞতার মূল্য অনুযায়ী। যারা
শিখতে আগ্রহী, তারা টিকিট কিনে আপনার আয়োজনে যুক্ত হবেন। এছাড়াও, যদি আপনার
ইভেন্টটা একটু বড় পরিসরে হয়, তাহলে বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে স্পন্সরশিপ
পাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন – এতে আপনার কাজের সুবিধার পাশাপাশি আয়ও বাড়বে। আর
হ্যাঁ, ইভেন্ট চলাকালীন বা শেষে আপনি চাইলে আপনার তৈরি কোনো ই-বুক বা আপনার
অন্য কোনো সার্ভিসও অংশগ্রহণকারীদের কাছে অতিরিক্ত পণ্য হিসেবে বিক্রি করতে
পারেন।
একটি বাস্তব উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি সহজে বুঝুন
উদাহরণ হিসেবে বলি, ধরুন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কোনো বিশেষ দিকে খুব
দক্ষ। আপনার এই জ্ঞানটা অনেকের কাছেই নতুন এবং প্রয়োজনীয় হতে পারে। তাদের
জন্য একটা অনলাইন ওয়ার্কশপ বা মাস্টারক্লাস আয়োজন করুন। নির্দিষ্ট ফি দিয়ে
তারা শিখতে আসবে, আর আপনি আপনার অভিজ্ঞতা দিয়ে তাদের সাহায্য করবেন। এটা
ভাবতেই ভালো লাগছে, তাই না? আপনার জ্ঞান কত মানুষের কাজে লাগছে!
ভার্চুয়াল ইভেন্ট ব্যবসার জন্য আপনি কি সঠিক
কিন্তু কারা এই সুযোগটা নিতে পারবেন? আমার মনে হয়, আপনার যদি কোনো বিষয়ে গভীর
জ্ঞান থাকে যা অন্যদের শেখানোর মতো, অথবা যদি আপনার ইভেন্ট বা অনুষ্ঠান
আয়োজনের প্রতি ভালোবাসা থাকে এবং সেগুলো সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলতে পারেন,
তাহলে আপনিই সঠিক মানুষ এই কাজের জন্য। আপনার ভেতরের এই গুণগুলোই আপনাকে
এগিয়ে রাখবে।
ভার্চুয়াল ইভেন্ট থেকে কেমন আয় হতে পারে জেনে নিন
আর আয়ের দিকটা? এটা সত্যি উৎসাহ দেওয়ার মতো। ধরুন, আপনার একটা ওয়ার্কশপে যদি
২০০ জন মানুষ আসে এবং প্রত্যেকে ৫০০ টাকা করে টিকিট কেনে, তাহলে এক ইভেন্ট
থেকেই আপনার আয় হবে ১ লক্ষ টাকা। বছরে যদি এমন ১০টি সফল ইভেন্টও করতে পারেন,
তাহলে আপনার বার্ষিক আয় ১০ লক্ষ টাকারও বেশি হতে পারে! আমার মনে হয়, আপনার
ভেতরের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ভার্চুয়াল ইভেন্টের মাধ্যমে নিজেকে
আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার এটা একটা দারুণ পথ। আপনি নিশ্চয়ই চেষ্টা করে
দেখবেন।
কিভাবে একটি হাউ-টু গাইড তৈরি করে অনলাইনে আয়ের নতুন পথ
খুলবেন
আমার তো মনে হয়, আমাদের ভেতরে যে বিশেষ জ্ঞান বা দক্ষতা থাকে, সেটিকে আয়ের
পথে নিয়ে আসার একটা দারুণ উপায় হলো 'হাউ-টু' গাইড তৈরি করা। এটা আসলে আপনার
শেখা কোনো বিষয়কে অন্যদের সহজভাবে শেখানোর একটা মাধ্যম। এই গাইডগুলো হতে
পারে সুন্দর একটি ই-বই বা ধাপে ধাপে দেখানো ভিডিও টিউটোরিয়াল। এই পদ্ধতিতে
কাজ করাটা আমাকে খুব আনন্দ দেয়, কারণ নিজের জানা জিনিস দিয়ে আমি অন্যকে
সাহায্য করতে পারি।
একটি সহজ উদাহরণ দিয়ে গাইড তৈরির ধারণা বুঝুন
ধরুন, আপনি খুব ভালোভাবে জানেন কীভাবে অনলাইনে একটি ই-কমার্স ব্যবসা শুরু
করতে হয়। আপনার এই পুরো প্রক্রিয়াটিকে সহজ ভাষায় লিখে বা ভিডিও বানিয়ে
একটি বিস্তারিত গাইড তৈরি করুন। এরপর এটিকে Gumroad বা Amazon Kindle-এর
মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আপলোড করে বিক্রির জন্য রাখুন। যদি ভালোভাবে
প্রচার করতে পারেন, আমার বিশ্বাস, আপনার এই গাইডটি কিনে অনেকেই উপকৃত হবেন
এবং আপনারও ভালো বিক্রি হবে।
হাউ-টু গাইড বিক্রি করার পদ্ধতি কেন সফল
আপনি হয়তো ভাবছেন, কেন এই পদ্ধতি এত কার্যকর? আমার কাছে এর দুটো বড় কারণ
আছে। প্রথমত, একবার যদি আপনি ভালো একটি গাইড তৈরি করে ফেলেন, তাহলে সেটিকে
বারবার বিক্রি করার সুযোগ থাকে – আপনার পরিশ্রম একবারের, কিন্তু আয় হতে
পারে অনেকদিন ধরে। দ্বিতীয়ত, আপনার গাইডটি যারা সত্যিই শিখতে আগ্রহী,
অর্থাৎ আপনার নির্দিষ্ট পাঠক বা লক্ষ্যগোষ্ঠীর কাছে সহজে পৌঁছানো সম্ভব হয়।
সঠিক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করলে সঠিক মানুষরাই খুঁজে নেবে আপনার তৈরি
জ্ঞানভান্ডার।
হাউ-টু গাইড তৈরি বিক্রির কিছু টিপস
এই পথে সফল হওয়ার জন্য আমার কিছু ছোট পরামর্শ আছে। প্রথমত, যখন গাইডটি তৈরি
করবেন, চেষ্টা করবেন সেটা যেন খুব বেশি দীর্ঘ না হয়ে সংক্ষিপ্ত হয়, কিন্তু
জরুরি সব তথ্য যেন এর মধ্যে থাকে। সহজ কথায়, কাজের কথাটাই বলুন। দ্বিতীয়ত,
আপনার তৈরি গাইডটির কথা সম্পর্কিত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে সবাইকে
জানান। মানুষকে যত বেশি জানাতে পারবেন, ততই আপনার বিক্রি বাড়ার সম্ভাবনা
থাকবে। আন্তরিকভাবে মানুষের সাথে যুক্ত হন।
হাউ-টু গাইড বিক্রি থেকে কেমন টাকা আসতে পারে
এবার আয়ের সম্ভাবনার কথা বলি, যা আমাকে সবচেয়ে বেশি উৎসাহিত করে। ভাবুন তো,
আপনার তৈরি একটি গাইড যদি আপনি ১,০০০ টাকায় বিক্রি করেন এবং মাসে অন্তত ১০০
কপি বিক্রি হয়, তাহলে আপনার মাসিক আয় হতে পারে প্রায় ১,০০,০০০ টাকা! এটা
ভেবে দেখুন, আপনার নিজের জ্ঞান আপনাকে কতটা উপরে নিয়ে যেতে পারে।
কিভাবে নিস সাবস্ক্রিপশন বক্সের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী লাভজনক ব্যবসা গড়ে
তুলবেন
আমার মনে হয়, আজকাল সাধারণ জিনিসের বাইরে গিয়ে নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের প্রতি
মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। ঠিক এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে আমরা নিস সাবস্ক্রিপশন বক্স
তৈরি করতে পারি। এটা ভাবতে ভালো লাগে যে, আপনি হয়তো 'প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
পণ্য' এর মতো একটি নির্দিষ্ট ধরনের পণ্য বাছাই করে, প্রতি মাসে পাঠাতে পারেন
সেইসব মানুষের কাছে যারা এই পণ্যগুলো খুঁজছেন। এটা আসলে একটা বিশেষ কমিউনিটির
জন্য কিছু করার মতো।
নিস সাবস্ক্রিপশন বক্স তৈরির কয়েকটি সহজ ধাপ
এই সুন্দর কাজটি কীভাবে শুরু করবেন? প্রথম ধাপ হলো সেইসব চমৎকার পণ্যের
সংগ্রহ তৈরি করা যা আপনার বেছে নেওয়া নির্দিষ্ট গ্রাহকদের কাছে দারুণ
আকর্ষণীয় হবে। এর পরের ধাপে Cratejoy-এর মতো কোনো নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্মে
একটি সাবস্ক্রিপশন অ্যাকাউন্ট খুলুন, যেখানে গ্রাহকরা সহজেই সাবস্ক্রাইব করতে
পারবে। আর সবশেষে, আপনার গ্রাহকদের নিয়মিত নতুন পণ্য বা অফারের বিষয়ে আপডেট
দিন তাদের সাথে সবসময় যুক্ত থাকুন। আমার মনে হয়, এই ধাপগুলো খুব সহজ আর মজার।
নিস সাবস্ক্রিপশন বক্স ব্যবসার দারুণ কিছু দিক
এই ব্যবসার সবচেয়ে ভালো দিকটা কি জানেন? এটা হলো একটা পুনরাবৃত্তি আয়ের
মডেল। মানে, একবার যদি গ্রাহক আপনার সাবস্ক্রিপশন পছন্দ করে, তাহলে তারা
প্রতি মাসেই টাকা দেবে এবং আপনিও প্রতি মাসে আয় করতে পারবেন। আমার কাছে এটা
খুবই নিশ্চিন্তের একটা বিষয়, কারণ এটা দীর্ঘ সময়ের জন্য লাভজনক হতে পারে।
নিয়মিত আয়ের এই সুযোগটা সত্যিই দারুণ।
সাবস্ক্রিপশন বক্স থেকে কেমন আয় আসতে পারে
আয়ের সম্ভাবনার কথা যখন ভাবি, তখন এই পদ্ধতি আমাকে বেশ উৎসাহিত করে। ধরুন,
যদি আপনার ২০০ জন গ্রাহক থাকেন এবং প্রতি মাসে তারা ১,০০০ টাকা করে
সাবস্ক্রিপশন নেন, তাহলে আপনার মাসিক আয় হতে পারে প্রায় ২,০০,০০০ টাকা। ভাবুন
তো, আপনার পছন্দের কিছু জিনিস গুছিয়ে পাঠিয়েই এমন একটা চমৎকার আয় করা সম্ভব।
এটা সত্যিই দারুণ একটি পথ নিজের পায়ে দাঁড়ানোর।
স্টক কনটেন্ট তৈরি করে সহজে আয় বাড়ানোর কৌশল এবং টিপস
আমাদের চারপাশের সুন্দর জিনিস বা দরকারি ডিজাইনগুলোকে শুধু নিজের কাছে না
রেখে সেগুলোকে আয়ের মাধ্যমে পরিণত করা সম্ভব। ঠিক এই সুযোগটা করে দেয় স্টক
কনটেন্ট তৈরি করা। স্টক ফটো, সুন্দর ভিডিও ক্লিপ বা দরকারি ডিজিটাল টেমপ্লেট
তৈরি করে Creative Market বা Shutterstock-এর মতো বড় প্ল্যাটফর্মগুলোতে
বিক্রি করা যেতে পারে। নিজের তৈরি করা জিনিস যখন অন্য কেউ কিনে ব্যবহার করে,
সেই অনুভূতিটা আমার কাছে দারুণ।
স্টক কনটেন্ট কী হতে পারে তার কিছু উদাহরণ
স্টক কনটেন্ট আসলে অনেক কিছুই হতে পারে। ধরুন, আপনি যদি প্রকৃতির ছবি তুলতে
ভালোবাসেন, সেই সুন্দর ছবিগুলো তুলে বিক্রির জন্য আপলোড করতে পারেন। অথবা যদি
ডিজাইনে হাত ভালো থাকে, তাহলে ছোট ব্যবসার জন্য কিছু সহজ আর সুন্দর
প্রেজেন্টেশন টেমপ্লেট তৈরি করতে পারেন। মানুষ তাদের ওয়েবসাইট, প্রেজেন্টেশন
বা মার্কেটিংয়ের জন্য এই ধরনের জিনিস প্রায়ই খুঁজে থাকে।
স্টক কনটেন্ট তৈরি বিক্রির জন্য কারা সঠিক
কিন্তু কারা এই কাজটা ভালোভাবে করতে পারবে? আমার মনে হয়, যাদের মধ্যে
ফটোগ্রাফি বা ডিজাইনের জন্মগত দক্ষতা বা প্রবল আগ্রহ আছে, তাদের জন্য এটা খুব
ভালো একটা পথ। যদি আপনার চারপাশের জিনিসগুলোকে সুন্দর চোখে দেখতে পারেন বা
ডিজাইন করতে ভালো লাগে, তাহলে এই কাজে আপনি আনন্দও পাবেন, আর আয়ও করতে
পারবেন।
স্টক কনটেন্ট তৈরিতে সফল হওয়ার কিছু টিপস
এই স্টক কনটেন্টের দুনিয়ায় সফল হতে চাইলে কিছু জিনিস মাথায় রাখা জরুরি। আমার
পরামর্শ হলো, সবসময় চেষ্টা করুন বাজারে চাহিদা আছে এমন কনটেন্ট তৈরি করতে।
মানুষ কী ধরনের ছবি বা ডিজাইন খুঁজছে, সেটা বোঝার চেষ্টা করুন। আর দ্বিতীয়ত,
নিয়মিত আপনার অ্যাকাউন্টে নতুন কনটেন্ট আপলোড করতে থাকুন। যত বেশি ভালো
কনটেন্ট থাকবে, বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়বে। লেগে থাকাটা এখানে খুব
দরকারি।
স্টক কনটেন্ট বিক্রি করে কেমন আয় হতে পারে
এবার আয়ের কথায় আসি। স্টক কনটেন্টের দাম সাধারণত প্রতিটি ফাইলের জন্য $১ থেকে
$৫ বা তার বেশি হতে পারে (যা প্রায় ১০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মতো)। যদি মাসে
আপনি ১০০টি কনটেন্টও বিক্রি করতে পারেন, তাহলে মাসিক আয় ৫০,০০০ টাকার বেশি
হওয়া সম্ভব। এটা এমন একটা আয় যা আপনার সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে আসবে, ভাবতেই
ভালো লাগে! একবার তৈরি জিনিস বারবার বিক্রি হওয়ার সুযোগ এখানেই।
মেটাভার্সের ভার্চুয়াল প্রপার্টি বিক্রি বা ভাড়া দিয়ে আয় শুরু করার
উপায়
সত্যি বলতে, মেটাভার্সে ভার্চুয়াল রিয়েল এস্টেট নিয়ে কাজ করার ধারণাটা
আমার কাছে দারুণ রোমাঞ্চকর মনে হয়। এটা যেন প্রযুক্তির এক নতুন দিগন্ত!
আমার মনে হয়, ভবিষ্যতে এটা আয়ের একটা অনেক বড় উৎস হয়ে দাঁড়াতে পারে।
কল্পনার এই জগতে আপনার নিজের একটা ভার্চুয়াল সম্পত্তি থাকবে, এটা ভাবতেই
অন্যরকম লাগে!
মেটাভার্সে আপনার ভার্চুয়াল প্রপার্টি ব্যবসা শুরু করুন
ভাবছেন কীভাবে এই নতুন জগতে পা রাখবেন? শুরুটা খুব সহজ। Decentraland বা
Sandbox-এর মতো জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মগুলোতে আপনি একটা ভার্চুয়াল সম্পত্তি
কিনতে পারেন। এরপর আপনার কেনা সেই জায়গাটাকে মনের মতো করে সাজিয়ে বা
বিভিন্ন সুবিধা যোগ করে আরও উন্নত করুন। আপনার এই উন্নত করা ভার্চুয়াল
প্রপার্টিটি তখন আপনি অন্যদের কাছে ভাড়া দিয়ে বা বেশি দামে বিক্রি করে আয়
করতে পারবেন।
এই ভার্চুয়াল জগতে সফল হতে কী দরকার
এই ক্ষেত্রটা আসলে তাদের জন্য খুব উপযুক্ত যারা প্রযুক্তি ভালোবাসেন এবং
বিনিয়োগের বিষয়টা বোঝেন। আপনার যদি নতুন কিছু শেখার আগ্রহ থাকে আর
প্রযুক্তির দুনিয়ায় কী হচ্ছে সেদিকে খেয়াল রাখেন, তাহলে এই ভার্চুয়াল
রিয়েল এস্টেট আপনার জন্য দারুণ হতে পারে। এখানে আপনার প্রযুক্তি জ্ঞান আর
ঝুঁকি নেওয়ার সাহস দুটোই কাজে লাগাতে পারবেন।
ভার্চুয়াল প্রপার্টি থেকে কেমন আয় আসতে পারে
আয়ের সম্ভাবনার কথা যখন ভাবি, তখন এই ভার্চুয়াল জগতটা আমাকে অবাক করে দেয়।
শুধু একটা ভার্চুয়াল সম্পত্তি ভালোভাবে উন্নয়ন করে বিক্রি করতে পারলেই
৮০,০০০ থেকে ২,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব! আর এটা এমন একটা মডেল
যেখানে আপনি যত বেশি দক্ষতা অর্জন করবেন এবং যত বেশি সম্পত্তি নিয়ে কাজ
করবেন, আপনার আয় তত বাড়বে। আমার মনে হয়, এটা সত্যিই অকল্পনীয় একটা সুযোগ
ভবিষ্যতের জন্য।
ওয়েবসাইট এবং পণ্য পরীক্ষা করে UserTesting-এ সাইন আপ করে আয় বাড়ানোর কৌশল
আমার তো এটা ভেবেই ভালো লাগে যে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের ওয়েবসাইট বা নতুন
পণ্য কেমন কাজ করছে, সেটা পরীক্ষা করার জন্য সাধারণ মানুষের মতামত নিতে চায়
এবং তার জন্য টাকাও দেয়! এটা আসলে বেশ সহজ কাজ, যেখানে আপনি আপনার
অভিজ্ঞতাটুকু শেয়ার করেই আয় করতে পারবেন। আমার মনে হয়, এটা ঘরে বসে কাজ করার
দারুণ একটা সুযোগ।
ওয়েবসাইট টেস্টিং কাজে কীভাবে যুক্ত হবেন
অনলাইনে আয় করার চমৎকার এক সুযোগ হলো বিভিন্ন পণ্য বা ওয়েবসাইট নিয়ে মতামত
প্রদান। শুরু করতে হলে সবার প্রথমে আপনাকে UserTesting-এর মতো কোনো
প্ল্যাটফর্মে সদস্য হতে হবে। যখনই কোনো নতুন টেস্টিংয়ের আমন্ত্রণ আসবে, আপনি
সেই ওয়েবসাইট বা অ্যাপ ব্যবহার করে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন। আপনার দেয়া
প্রতিটি ফিডব্যাকের বিনিময়ে সহজেই আয় করা যাবে।
ওয়েবসাইট পণ্য পরীক্ষার কাজের জন্য কারা সঠিক
আচ্ছা, এই কাজটা কাদের জন্য সবচেয়ে ভালো? আমার মনে হয়, যারা কোনো জিনিস
খুঁটিয়ে দেখতে পছন্দ করেন, ছোট ছোট বিষয়গুলো খেয়াল করেন এবং নিজের মতামতটা
গুছিয়ে সংক্ষেপে বলতে পারেন, তাদের জন্য এটা খুব উপযুক্ত। আপনার এই
পর্যবেক্ষণ ক্ষমতাটাই এখানে সবচেয়ে জরুরি। আপনার দেওয়া ফিডব্যাক
কোম্পানিগুলোর জন্য খুব দরকারি হয়।
ওয়েবসাইট টেস্টিং করে কেমন টাকা আসতে পারে
আয়ের সম্ভাবনার কথা বললে, প্রতিটি টেস্টিং সেশনের জন্য আপনি ৫০০ টাকা থেকে
শুরু করে ১০০০ টাকার বেশিও আয় করতে পারেন। এটা নির্ভর করে টেস্টিংয়ের ধরনের
উপর। যদি আপনি মাসে ২০ থেকে ৩০টি সেশন করতে পারেন, তাহলে প্রায় ১০,০০০ থেকে
৩০,০০০ টাকা বা তার বেশিও আয় করা সম্ভব। আমার মনে হয়, মূল আয়ের পাশাপাশি এটা
হাত খরচের বা বাড়তি আয়ের জন্য একটা চমৎকার উপায় হতে পারে।
সব বাজ ব্লগিং ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url