ঘরে বসে ওজন কমানোর উপায় - জিম ছাড়ুন, মেদ ঝরান
ঘরে বসে ওজন কমানোর উপায় নিয়ে ভাবছেন? আমি জানি, অনেকেই চান সহজে আর নিরাপদে
নিজেদের ফিট রাখতে। আপনি যদি জানতে চান দ্রুত ওজন কমানোর উপায় কি, তবে আপনার
জন্যই তৈরি করেছি এই সহজ গাইডটি। এখানে পাবেন প্রমাণিত ও বিজ্ঞানসম্মত সব টিপস
যা আপনাকে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করবে।
সকালে খালি পেটে কী খাবেন বা ডায়েট ছাড়াই বা কীভাবে স্লিম হওয়া যায়, এমন নানা
প্রশ্নের উত্তর মিলবে এখানে। নিজেকে নতুন করে খুঁজে পেতে এবং দ্রুত ওজন কমানোর
উপায় কি তা বিস্তারিত জানতে পড়ুন আমাদের এই আর্টিকেল। আপনার সুস্থ ও সুন্দর
জীবন এখন আপনার হাতেই।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ঘরে বসে ওজন কমানোর উপায় সহজ ও কার্যকারী উপায়
- ঘরে বসে ওজন কমানোর উপায় সহজ ও কার্যকারী উপায়
- সকালে খালি পেটে কী খেলে ওজন কমে তা জানার সহজ উপায়
- ডায়েট ছাড়া ওজন কমানোর উপায় কী কী জেনে নিন ঘরে বসেই
- কোন কোন খাবার খেলে ওজন কমে না তা কীভাবে চিনবেন
- সকালে খালি পেটে কী খেলে পেটের চর্বি কমে দ্রুতভাবে
- লেবু খেলে কি পেটের চর্বি কমে নাকি এটি শুধু ধারণা
- লেবু কিভাবে খেলে ওজন কমে সে বিষয়ে বিস্তারিত গাইডলাইন
- রাতে না খেলে কি ওজন কমে না বাড়ে, সত্যটা জানুন এখনই
- ব্যক্তিগত মতামতঃ ঘরে বসে ওজন কমানোর উপায় সহজ ও কার্যকারী উপায়
ঘরে বসে ওজন কমানোর উপায় সহজ ও কার্যকারী উপায়
ঘরে বসে ওজন কমানোর উপায় সহজ ও কার্যকারী উপায় নিয়ে আজকের আর্টিকেল। আমার
মনে হয়, ওজন কমানো একটি চ্যালেঞ্জিং তবে আপনি যদি ঘরে বসে কিছু সহজ এবং
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করেন তাহলে খুব সহজে সফলতা পাওয়া সম্ভব। তাহলে
চলুন বেশি কথা না বলে ঘরে বসে ওজন কমানোর উপায় সহজ ও কার্যকারী উপায় গুলো
দেখে নেওয়া যাক।
- ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং (১৬/৮ পদ্ধতি) 🠊 আমি যখন ১৬ ঘণ্টা উপোস থেকে ৮ ঘণ্টার মধ্যে খাবার খাই, তখন শরীরের মেটাবলিজমটা বেশ চাঙ্গা হয় আর চর্বিও দ্রুত পুড়তে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, এভাবে চললে ৩ মাসেই কিন্তু গড়ে ওজনের ৪ থেকে ৬ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে!
- প্রতিদিন নিজের ওজন মাপাঃ 🠊 আপনি যদি প্রতিদিন একটা স্মার্ট স্কেলে নিজের ওজনটা খেয়াল করেন, তাহলে দেখবেন খাবারের অভ্যাসে একটা দারুণ নিয়ন্ত্রণ এসেছে। একটা সমীক্ষায় এমনও দেখা গেছে যে, এভাবে ৬ মাস করলে ওজনের প্রায় ৬.৫৫ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে।
- আগে থেকে খাবার তৈরি রাখা (মিল প্রিপারেশন) 🠊 সপ্তাহের শুরুতেই যদি স্বাস্থ্যকর খাবারগুলো গুছিয়ে রাখি, তখন বাইরের ভুলভাল খাবার খাওয়ার ইচ্ছেটাই থাকে না। পরিমিত ক্যালোরি, যেমন ধরুন দিনে প্রায় ১৫০৯ ক্যালোরির মতো, গ্রহণ করাও তখন সহজ হয়ে যায়, যা স্বাস্থ্যকর ডায়েটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- উচ্চ-প্রোটিন সমৃদ্ধ সকালের নাস্তাঃ 🠊 সকালের নাস্তায় যদি আমি ডিম, গ্রিক ইয়োগার্ট বা কোনো ভালো প্রোটিন শেক রাখি, তাহলে সারা দিনে প্রায় ২৭০ ক্যালোরি কম খাওয়া হয়। আসলে, এই প্রোটিন আমাদের শরীরের লেপটিন হরমোনকে ঠিক রেখে খিদেটাই কমিয়ে দেয়, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে।
- ঘুমের পরিমাণ বাড়ানোঃ 🠊 জানেন কি, প্রতিদিন যদি আমি আগের চেয়ে অন্তত ১.২ ঘণ্টা বেশি ঘুমাই, তাহলে খাবারের মাধ্যমে প্রায় ২৭০ ক্যালোরি কম শক্তি শরীরে যায়! আসলে, ৭-৮ ঘণ্টা ভালো ঘুম আমাদের কর্টিসল হরমোনকে নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা ওজন ঠিক রাখতে খুব জরুরি।
- শীতল পরিবেশে থাকা (কোল্ড এক্সপোজার) 🠊 শুনতে একটু অন্যরকম লাগলেও, প্রতিদিন যদি ১৬ থেকে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ঘণ্টা দুয়েক থাকা যায়, তাহলে আমাদের শরীরের ব্রাউন ফ্যাট সক্রিয় হয়ে ওঠে। এর ফলে, প্রতিদিন প্রায় ১৮৮ ক্যালোরি অতিরিক্ত পুড়তে পারে, যা ওজন কমাতে সহায়ক।
- গ্রিন টি সাপ্লিমেন্টঃ 🠊 আমি একটা বিষয় দেখেছি, গ্রিন টি-তে থাকা ইজিসিজি নামের উপাদানটি বেশ কাজের। দিনে প্রায় ৮৫৭ মিলিগ্রামের মতো এই উপাদান গ্রহণ করলে ১২ সপ্তাহে গড়ে প্রায় ১.১ কেজি ওজন আর কোমরের মাপ প্রায় ২.৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত কমতে পারে।
- দ্রবণীয় ফাইবার গ্রহণঃ 🠊 ইসবগুলের ভুসি বা ওটমিলের মতো খাবার, যাতে দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, সেগুলো খেলে আমাদের বিএমআই প্রায় ০.৮৪ পয়েন্ট এবং শরীরের চর্বি প্রায় ০.৪১ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে বলে জানা যায়।
- মনোযোগ দিয়ে খাওয়া (মাইন্ডফুল ইটিং) 🠊 আপনি যখন টিভি বা মোবাইল একপাশে রেখে, খাবারের প্রতিটি কামড় ধীরে সুস্থে চিবিয়ে খাবেন, তখন দেখবেন নিজের অজান্তেই প্রায় ২০ শতাংশ ক্যালোরি কম গ্রহণ করছেন। এটা কিন্তু দারুণ একটা কৌশল!
- ছোট প্লেটে খাবার নেওয়াঃ 🠊 এটা একটা মজার কিন্তু কার্যকরী ব্যাপার, যদি আপনি সাধারণ আকারের চেয়ে একটু ছোট, ধরুন ৯ ইঞ্চির প্লেটে খাবার পরিবেশন করেন বা নেন, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রায় ২০ শতাংশ খাবার কম খাওয়া হয়।
সকালে খালি পেটে কী খেলে ওজন কমে তা জানার সহজ উপায়
সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন কমে তা হয়তো আপনাদের মধ্যেও অনেকেই জানেন না অথবা
জানলেও সেটি স্পষ্ট নয়। সকালে খালি পেটে উপযুক্ত খাবার নির্বাচন আপনার ওজন
কমানোর ক্ষেত্রে দারুণ ভূমিকা রাখে। সেজন্য আপনাকে সকালে নাস্তায় উচ্চ
ফাইবার, প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে যা আপনার
মেটাবলিজম সক্রিয় এবং দিনভর ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণের সহায়তা করবে। তাহলে চলুন
সকালে খালি পেটে খাবেন এমন খাবার দেখে নেওয়া যাক।
- গরম লেবু পানি (গবেষণায় দেখা গেছে লেবুতে থাকা পলিফেনল নামক যৌগ শরীরকে ফ্যাট বা চর্বি ভেঙে শক্তি উৎপাদনে আরও দক্ষ করে তোলে)
- ওটমিল (এক গবেষণায় ১২ সপ্তাহে ২.৫ কেজি ওজন হ্রাস পাওয়া গেছে)
- গ্রিক ইয়োগার্ট (গবেষণা অনুসারে, গ্রিক ইয়োগার্ট দিনে ২৭০ ক্যালোরি কম গ্রহণে সাহায্য করে)
- ডিম (এক গবেষণায় ডিমযুক্ত নাস্তা ২০% কম ক্যালোরি গ্রহণ নিশ্চিত করে)
- গ্রিন টি (গবেষণায় ১২ সপ্তাহে ১.১ কেজি ওজন হ্রাস লক্ষ্য করা গেছে)
- বেরি (এক গবেষণায় বেরি খাওয়া গ্রুপে ২০% কম ক্যালোরি গ্রহণ দেখা গেছে)
- চিয়া সিড (২ টেবিল চামচ চিয়া সিড দিনে ১৫০ ক্যালোরি কমাতে সাহায্য করে)
- বাদাম (গবেষণায় ৩০ গ্রাম বাদাম দিনে ১০% কম ক্যালোরি গ্রহণ নিশ্চিত করে)
ডায়েট ছাড়া ওজন কমানোর উপায় কী কী জেনে নিন ঘরে বসেই
আমরা অনেকেই চাই ডায়েট ছাড়া ওজন কমাতে। কিন্তু অনেক সময় সঠিক নির্দেশনা
এবং সঠিক তথ্য খুঁজে পাই না। আমার মতে আপনি যদি জীবনযাত্রায় কিছু সহজ
পরিবর্তন আনেন তাহলে ভালো ফল পেতে পারেন। তাহলে চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া
যাক ডায়েট ছাড়া ওজন কমানোর উপায় গুলো কি কি।
- স্ট্যান্ডিং ডেস্ক ব্যবহারঃ আমি জেনেছি কর্মক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে কাজ করলে বসার চেয়ে প্রতি ঘণ্টায় ৫৪ ক্যালোরি বেশি পোড়ে এটা খুব সহজ একটা পরিবর্তন।
- অফিসের পরিবেশ বদলঃ আমার মনে হয় অফিসে হাঁটা সিঁড়ি ব্যবহার বা স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস রাখলে কর্মীরা দিনে ২৭০ ক্যালোরি পর্যন্ত কম গ্রহণ করতে পারেন পরিবেশের এই ছোট বদল দারুণ কাজে দেয়।
- পরিবেশ বদলে ওজনঃ গবেষণায় দেখা গেছে কর্মক্ষেত্রে পরিবেশের এই বদল ওজন ধরে রাখতে পারলেও বেশি ওজন কমাতে অন্য চেষ্টা দরকার আমি মনে করি এটা জানা জরুরি।অলক্ষ্যে নড়াচড়াঃ হাত পা নাড়ানো বা বসার সময় হালকা দোলা দিনে ৩৫০ ক্যালোরি পর্যন্ত পোড়াতে পারে আমার মনে হয় এই ছোট নড়াচড়া খুব উপকারী।
- নড়াচড়া ও ওবেসিটি ঝুঁকিঃ মায়ো ক্লিনিকের গবেষণা বলছে যারা দিনে ২ ঘণ্টা বেশি নড়াচড়া করেন তাদের ওবেসিটি ঝুঁকি ৩০ পার্সেন্ট কম এটা জেনে আমি উৎসাহ পাই।সক্রিয়তার পার্থক্যঃ গবেষকরা দেখেছেন বিশেষ পোশাক পরালে লীন ব্যক্তিরা স্থূলদের চেয়ে প্রতিদিন আড়াই ঘণ্টা মানে ২.৫ ঘণ্টা বেশি সক্রিয় থাকেন।
- ইএমএস মেশিনের ব্যবহারঃ ইএমএস মেশিন নাকি পেশী সংকোচন করে মাত্র ৩০ মিনিটে ৩০০ থেকে ৫০০ ক্যালোরি পোড়াতে পারে এটা এক ধরণের থেরাপিউটিক উপায়।
- ইনফ্রারেড সনার প্রভাবঃ ইনফ্রারেড সনার ৪৫ মিনিটের সেশন মেটাবলিজম ১৫ পার্সেন্ট বাড়িয়ে ৬০০ ক্যালোরি পর্যন্ত পোড়াতে পারে এটা আরামদায়ক মনে হচ্ছে আমার কাছে।
- ভাইব্রেশন প্লেটের সুবিধাঃ সপ্তাহে মাত্র ৩ বার ভাইব্রেশন প্লেট ব্যবহার করলে পুরো শরীর সক্রিয় হয় যা নাকি ২.৫ কেজি ওজন কমাতে সাহায্য করে গবেষণায় এমনটাই দেখা গেছে।
- মাইন্ডফুলনেস ও স্ট্রেসঃ স্ট্রেস কমাতে বা ইমোশনাল ইটিং নিয়ন্ত্রণে দিনে ১০ মিনিটের মাইন্ডফুলনেস প্র্যাকটিস ক্যালোরি গ্রহণ ২০ পার্সেন্ট কমাতে সাহায্য করে আমি এটা বিশ্বাস করি।
- আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ঘুমঃ গবেষণা বলছে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ বাড়ালে ও ভালো ঘুমালে ৬ মাসে ৬.৫ পার্সেন্ট ওজন কমানো নিশ্চিত করা যায় আমি মনে করি এটা খুব আশা যোগায়।
কোন কোন খাবার খেলে ওজন কমে না তা কীভাবে চিনবেন
ওজন কমানোর জন্য কি কি খাওয়া যাবেনা তা আমাদের প্রত্যেকেরই জানা উচিত বিশেষ করে
তাদের জন্য যারা ওজন কমাতে ইচ্ছুক। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে শুধু ক্যালোরি গণনা
নয় বরং খাদ্য তালিকা থেকে আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট খাবার বাদ দিতে হবে। তাহলে
চলুন দেখে নেওয়া যাক ওজন কমানোর জন্য কি কি খাবেন না।
- মিষ্টি পানীয় (সোডা, প্যাকেট জুস) 🠊 প্রতি ৩৫০ মিলিতে ৯ চা-চামচ চিনি থাকে, যা বছরে ৭ কেজি পর্যন্ত ওজন বাড়ায়।
- প্রক্রিয়াজাত স্ন্যাকস (চিপস, ক্র্যাকার) 🠊 উচ্চ লবণ ও ট্রান্স ফ্যাট হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
- রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট (সাদা পাউরুটি, ময়দা) 🠊 ফাইবারের অভাবে রক্তে শর্করা দ্রুত বাড়ায়।
- ডিপ ফ্রাইড খাবার (ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিকেন নাগেটস) 🠊 এক টেবিল চামচ তেলে ১২০ ক্যালোরি যুক্ত হয়।
- অ্যালকোহল 🠊 লিভারে ফ্যাট জমা ও মেটাবলিজম কমায়।
- প্রক্রিয়াজাত মাংস (সসেজ, বেকন) 🠊 নাইট্রেট যুক্ত হওয়ায় ক্যান্সার ঝুঁকি বাড়ে।
কীভাবে বুঝবেন কোন খাবার ওজন বাড়ায়
- উপাদান তালিকা স্ক্যান করুন
- পুষ্টি লেবেল দেখুন ও খাদ্যের প্রক্রিয়াজাত স্তর চেক করুন
- চিনি পরিমাণ দেখে নিন
- খাওয়ার পর তৃপ্তির বদলে আরও খেতে ইচ্ছে হলে সাবধান
- খাওয়ার পর ক্লান্তি বা ইনফ্লেশন অনুভব হলে
- খাবারটি কি প্রাকৃতিক না প্যাকেটজাত?
- নিয়মিত খাওয়ার পর ওজন বাড়ছে কি না খেয়াল করুন
সকালে খালি পেটে কী খেলে পেটের চর্বি কমে দ্রুতভাবে
সকালে খালি পেটে এমন কিছু নির্দিষ্ট খাবার রয়েছে যার গ্রহণের মাধ্যমে আপনার
মেটাবলিজম সক্রিয় করে এবং শরীরের মেদ বা চর্বি দ্রুত গলিয়ে
ফেলে। সকালে খালি পেটে আপনি যে খাবার খাবেন সেটি অবশ্যই সঠিক এবং গবেষণামূলক
হতে হবে। না হলে এতে বিপরীত হতে পারে। তাহলে চলুন, আপনি সকালে
খালি পেটে কি খেলে দ্রুত পেটের চর্বি কমতে পারে তা এক নজরে দেখে নেই।
- ব্রাজিল নাটঃ এই বাদাম থাইরয়েড ভালো করে মেটাবলিজম ১৫% বাড়ায় আপনার জন্য।
- নারকেল পানিঃ পটাশিয়াম এনজাইম মেটাবলিজম ১৮৮ ক্যালোরি পোড়ায় আমার বিশ্বাস।
- যব বার্লিঃ রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ ধীরে হজম হয় ক্ষুধা পেট চর্বি কমায়।
- মেথি ভেজানো পানিঃ গ্যালাক্টোম্যানান ফাইবার চর্বি জ্বালানো এনজাইম সক্রিয় করে।
- দারুচিনি পানিঃ ব্রাউন ফ্যাট সক্রিয় করে সাদা চর্বি গলাতে সাহায্য করে।
- শুকনো আদাঃ থার্মোজেনিক প্রভাবে মেটাবলিজম ১০% বৃদ্ধি করে আপনার শরীর ভালো থাকবে।
- আমলার রসঃ ভিটামিন সি লিভার ডিটক্স করে চর্বি জমা রোধ করে আপনার জন্য।
- চিয়া সিডঃ ওমেগা-৩ ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায় চর্বি জ্বালাতে সাহায্য করে।
- অ্যাপল সাইডার ভিনেগারঃ অ্যাসেটিক অ্যাসিড চর্বি জমা করা জিন নিষ্ক্রিয় করে।
লেবু খেলে কি পেটের চর্বি কমে নাকি এটি শুধু ধারণা
আপনি হয়তো শুনেছেন যে লেবু পানি খেলে নাকি পেটের চর্বি কমে যায়, তাই না? এই
ধারণাটা বেশ প্রচলিত। তবে সত্যি বলতে কি, গবেষণা কিন্তু সরাসরি এমনটা প্রমাণ
করতে পারেনি। হেলথলাইন বা এক্সামিন.কম এর মতো নির্ভরযোগ্য উৎসগুলো বলছে, লেবু
পানি খেলেই যে পেটের চর্বি অলৌকিকভাবে উধাও হয়ে যাবে, এমন কোনো শক্ত প্রমাণ
নেই। এমনকি পুষ্টি বিশেষজ্ঞরাও এই দাবীর পেছনে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি খুঁজে পাননি।
তবে লেবুতে কিছু দারুণ জিনিস আছে, যেমন পলিফেনল আর ফ্লাভোনয়েড যা মেটাবলিজম
বা হজম প্রক্রিয়াকে একটু হলেও সাহায্য করতে পারে। আরেকটা ব্যাপার হলো, আপনি
যদি মিষ্টি শরবত বা কোমল পানীয়ের বদলে লেবু পানি পান করেন, তাহলে এমনিতেই
ক্যালরি কম খাওয়া হবে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। আর পর্যাপ্ত পানি পান করা
তো স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো। তাই, লেবু পানি পেটের চর্বি সরাসরি না কমালেও,
ওজন নিয়ন্ত্রণের যাত্রায় এটি একটি উপকারী বন্ধু হতে পারে।
লেবু কিভাবে খেলে ওজন কমে সে বিষয়ে বিস্তারিত গাইডলাইন
ওজন কমাতে আমরা সবাই কমবেশি চেষ্টা করি, তাই না। লেবু এক্ষেত্রে প্রকৃতির দেওয়া
একটা সহজ উপায় হতে পারে, কারণ এতে ক্যালোরি তেমন নেই এবং এটি হজমে সাহায্য
করে। আমি মনে করি সঠিক উপায়ে একে রোজকার অভ্যাসে যোগ করতে পারলে ওজন কমানোর
পথটা হয়তো একটু সহজ হতে পারে আপনার জন্য।
লেবুকে সাথে নিয়ে ওজন কমানোর কিছু উপায় আমি আপনাদের জন্য তুলে ধরছি
- সকালে খালি পেটে লেবুপানিঃ নাশতার আধ ঘন্টা আগে ৪০০মি. হালকা গরম জলে ২ চা-চামচ লেবুর রস মিশিয়ে সকালে খালি পেটে পান করলে ভালো হয়।
- বিপাকহার বাড়ায়ঃ লেবুর ভিটামিন সি আপনার বিপাকক্রিয়া দ্রুত করে ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে।
- ক্ষুধা কমায়ঃ লেবুর পেকটিন ফাইবার পেট ভরা রেখে আপনাকে বেশি খাওয়া থেকে বাঁচায়।
- কম ক্যালোরি সেবনঃ কম ক্যালরির লেবু পানি মিষ্টি পানীয়ের সেরা বিকল্প হতে পারে।
- হজমশক্তি বাড়ায়ঃ লেবুর অ্যাসিড হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে যা ওজন কমাতে কাজে আসে।
- সতর্কতাঃ দিনে দু'বারের বেশি পান করবেন না আর অ্যাসিডিটি থাকলে সাবধানে থাকবেন।
- সম্পূর্ণ লাইফস্টাইলঃ মনে রাখবেন সুষম খাবার, ব্যায়াম আর ঘুমের সাথে লেবু পানি খেলেই কেবল ওজন কমবে।
রাতে না খেলে কি ওজন কমে না বাড়ে, সত্যটা জানুন এখনই
ওজন কমাতে রাতের খাবার বাদ দেওয়ার কথা ভাবছেন? আমি জানি, এটা একটা জটিল ব্যাপার।
সত্যি বলতে, গবেষণা বলছে হয়তো অল্প সময়ের জন্য ক্যালোরি গ্রহণ কমতে পারে, কিন্তু
জানেন কি, দীর্ঘমেয়াদে এটা আপনার শরীরের বিপাক হার কমিয়ে দিতে পারে? এতে কিন্তু
উল্টো ওজন বাড়ার ঝুঁকি থাকে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ-এর গবেষণা তো বলছেই,
ডিনার না করাটা ওজন বাড়ার সাথে সম্পর্কিত।
আমার মনে হয়, শরীর তখন এক ধরণের স্ট্রেস অনুভব করে কর্টিসল বাড়িয়ে দেয়, যা ফ্যাট জমাতে সাহায্য করে। আর পরে তো বেশি খিদে পেয়ে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়েই। হার্ভার্ডের একটি সমীক্ষাও দেখিয়েছে, রাতে দেরি করে খেলে রক্তে গ্লুকোজ ও ফ্যাট স্টোরেজ বাড়ে। তাই আমার পরামর্শ হলো, হয় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খান নয়তো সন্ধ্যার আগে হালকা কিছু খেয়ে নিন। এতেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে।
আমার মনে হয়, শরীর তখন এক ধরণের স্ট্রেস অনুভব করে কর্টিসল বাড়িয়ে দেয়, যা ফ্যাট জমাতে সাহায্য করে। আর পরে তো বেশি খিদে পেয়ে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়েই। হার্ভার্ডের একটি সমীক্ষাও দেখিয়েছে, রাতে দেরি করে খেলে রক্তে গ্লুকোজ ও ফ্যাট স্টোরেজ বাড়ে। তাই আমার পরামর্শ হলো, হয় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খান নয়তো সন্ধ্যার আগে হালকা কিছু খেয়ে নিন। এতেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে।
ব্যক্তিগত মতামতঃ ঘরে বসে ওজন কমানোর উপায় সহজ ও কার্যকারী উপায়
ঘরে বসে ওজন কমানোর উপায় আসলে খুব কঠিন কিছু নয়, এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত।
আমি দেখেছি, বিশাল কোনো পরিবর্তন না এনেও কিছু সহজ অভ্যাস বদলে ফেলাই যথেষ্ট।
শুধু প্রয়োজন একটু জানার আর একটুখানি ইচ্ছাশক্তির। নিজের ঘরে বসেই ছোট ছোট
পদক্ষেপে কীভাবে সুস্থ থাকা যায়, সেটা সত্যিই অনুপ্রেরণার।
আমার মনে হয়, সঠিক তথ্য আর নিজের শরীরের প্রতি যত্নশীল হলেই এই পথটা সহজ হয়ে
যায়। জিমে না গিয়ে বা না খেয়ে কষ্ট করার বদলে smartly কাজ করাই বুদ্ধিমানের
কাজ। নিজের জন্য সময় বের করে এই উপায়গুলো অনুসরণ করলে ফিট থাকাটা আর স্বপ্ন
নয়, বাস্তবতা।
সব বাজ ব্লগিং ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url